নিলয় ও রিয়ার বেদনাময় একটি প্রেমের গল্প বলবো আজকে
একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প কিভাবে এত বেদনাময় হয় দেখুন।
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার পর কথোপকথন
নিলয় ১ সপ্তাহ হলো কনো মেসেজ দিলো না। রিয়া নিলয়ের কথা ভুলে গেছে।কিন্তু কিছুদিন পর নিলয়ের একটা ফেসবুক স্টাট্যাস দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো রিয়ার। নিলয় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে শুয়ে রয়েছে। তারপর রিয়া কমেন্ট করলো। কিন্তু রিয়া কমেন্টর উওর পেলো না। রিয়া আরো বেশী চিন্তিত হয়ে পড়লে। তাই কয়েক টা মেসেজ দিলো। কিন্তু তবু কনো উত্তর পেলো না। নিলয় সুস্থ হয়ে যখন ফোন দেখলো তারপর সাথে সাথে রিয়াকে ফোন দিলো মেসেঞ্জারে রিয়া ফোন রিসিভ করে বলে উঠে কি হয়ছে আপনার কেনো উত্তর দিচ্ছেন না। নিলয় সব কিছু বলে এক্সিডেন্ট হয়ছিলো।এবং অসুস্থ ছিল তাই উত্তর দিতে পারে নি। নিলয় বলে তবে আপনিতো আমার সাথে কথা বলবেন না। তাহলে কেনো আমার খবর নিচ্ছেন। রিয়া চুপ করে আছে কনো কথা বলছে না। তারপর নিলয় বলছে আপনি কি আমার সাথে কথা বলতে পারবেন। রিয়া বলে কথাতো বলতেছি। নিলয় বলে এইভাবে না অন্য ভাবে রিয়া বলে কি ভাবে তাহলে। আমরা কি আপনি থেকে তুমি হতে পারি। রিয়া বলে ঠিক আছে কিন্তু তুমি পর কিন্তু আর কিছু না। নিলয় ঠিক আছে। তারপর এইভাবে তিন মাস হয়ে গেলো তাদের সাথে কথা। নিলয় প্রপোজ করে দিলো। কিন্তু প্রপোজ করে দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে কথা হয় না তাদের। নিলয় চিন্তিত হয়ে পড়ে। তিন দিন পর রিয়ার ফোন রিয়া বলছে আমাকে তুমি এই তিন দিন কতো বার মনে করছো।নিলয় উত্তরে বলে হিসাব করেপ বলতে পারবো না তবে অনেক বার।রিয়া বলে ঠিক আছে এই তিন দিন যেভাবে আমার কথা চিন্তা করছো সারা জীবন কি আমার জন্য এইভাবে ভাবতে পারবে । নিলয় হ্যা পারবো। এই ভাবে তাদের রিলেশন চলে প্রায় ২ বছর কিন্তু এখনো তাদের দেখো হয়নি। তারা ঠিক করে দেখা করবে পরের সপ্তাহে। তাই দেখা করবে এই চিন্তা করতে করতে দুই জন অনেক অপেক্ষার দিন গুনছে।
বিকেল ৩ টা নদির পাশে দিয়ে হেটে চলছে দুই জন। মনে হচ্ছে তারা ডানে বামে কি হচ্ছে কিছুই দেখছে না। সুধু একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। এই ভাবে কিছুখন চলার পর আকাশ মেঘলা হয়ে গেলো। হঠাৎ ব্রজপাত শুরু হলো আর রিয়া ভয়ে কান্না করে দিলো। রিয়া ব্রজপাত খুব ভয় পায়।নিলয় রিয়ার চোখের জল মুছে দিয়ে জড়িয়ে দরলো। রিয়া আরো বেশি করে কান্না শুরু করলো।নিলয় বলছে কান্না করো না আমি আছিতো তোমার সাথে। রিয়া তুমি যদি আমার চোখের প্রতেক ফোটা জলের জন্য এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখো। তাহলে আমি সারা জীবন এভাবে কাঁদতে রাজি আছি।
নিলয়: তোমাকে এভাবে কাঁদতে হবেনা আমি এমনিতেই তোমাকে সারা জীবন এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখবো। কথা বলতে বলতে হঠাৎ বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। নিলয় রিয়াকে বলে আজকে তাহলে বাড়ি ফিরে যাও অন্য আরেকদিন দেখা হবে আজকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তারপর নিলয় এদিক-সেদিক রিকশা খুঁজতে শুরু করলো কিন্তু রিকশা পেল না। হঠাৎ একটি রিকশা পেল এবং দুজনেই সেই রিক্সায় উঠে পড়লো এবং রিয়া নিলয় কে বলছে আচ্ছা আমাকে তুমি নামিয়ে দিয়ে তারপর তোমার বাসায় চলে যাও যেহেতু আমার বাসা খুবই কাছে এখান থেকে। নিলয় রিয়াকে তাদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেল তার বাসার দিকে। ঐদিনের পর থেকে তিনদিন যাবৎ রিয়া এবং নিলয়ের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। রিয়া অনেকবার চেষ্টা করছে ফোনে কিন্তু নিলয়ের ফোন অফ ছিল যার ফলে যোগাযোগ হচ্ছিল না তাদের মাঝে। হঠাৎ রিয়ার টিভিতে দেখতে পায় একজন রিকশাচালক সহ একজন যাত্রী ব্রজপাতে মারা গিয়াছে। রিয়া চিনতে পারে যাত্রীটি নিলয়। আর তখন থেকে রিয়া সুধু কান্না করে। কথা বলে না চুপ করে থাকে।
আজ ১২ বছর হয়ে গেছে কিন্তু রিয়ার কান্না এখনো থামেনি ।চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে। রিয়া এখন মানসিক হাসপাতালে। সত্যি কারের ভালবাসা গুলো এমনি হয়।
একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প কিভাবে এত বেদনাময় হয় দেখুন।
নিলয় ও রিয়ার পরিচয় :
নিলয় একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে এবং রিয়া প্রভাব শালী বাবার মেয়ে। তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে রিয়ার ফেসবুক নাম ছিল জেরি এবং নিলয়ের ফেসবুক নাম ছিল টম। আমরা কার্টুনে যে রকম দেখি আসলে তাদের প্রেমের গল্পটা শুরুর দিকে একি রকম ছিল। কিন্তু শেষের দিকে একি হয়ে গেল। জানতে হলে সম্পন্ন গল্পটি পড়ুন।যে ভাবে হয় ফেসবুকে যোগাযোগ
টম মানে নিলয় ফেসবুক ব্যাবহার করার সময় দেখতে পেল জেরি মানে রিয়া একটি নিউজ পেইজে ভালবাসার গল্পকে কেন্দ্র করে একটি নিউজ করা হয়ছে আর সেখানে রিয়া কমেন্ট করেছে। আর নিলয় কমেন্ট পড়ার পর রিয়ার ফেসবুক প্রোফাইল চেক করে কিন্তু রিয়ার প্রোফাইল প্রাইভেসি লক যার ফলে কিছু বুঝতে পারলো না। কিন্তু তার মনে হলো যেহেতু আমার ফেসবুকের নাম টম এবং তার ফেসবুকের নাম জেরি তাহলে একটা রিকুয়েস্ট পাঠানো যায়।এই ভেবে নিলয় ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠয়ে দিলে এবং প্রতিদিন লক্ষ করলো রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করছে কিনা। তার পর মেয়েটি একদিম টমের প্রোফাইল চেক করে এবং ভেবে দেখে টম যেহেতু নাম তাহলে একসেপ্ট করা যায় ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেখা যাক টম এন্ড জেরির মাঝে কি কথা হয়।ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার পর কথোপকথন
- নিলয় : হাই
- রিয়া : নো রিপলে
- নিলয় : হ্যালো
- রিয়া: নো রিপলে
- নিলয় : ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিলেন কিন্তু এখন কথা বলেন না কেনো।
- রিয়া: কখন আমি আপনাকে রিকুয়েস্ট দিলাম।আপনিতো রিকুয়েস্ট দিছেন।
- নিলয় : হ্যা আমি দিছি তবে একসেপ্টতো করছেন আপনি।
- রিয়া: একসেপ্ট করছি তো কি হয়ছে।
- নিলয়: একনো কিছু হয়নি তবে হবে।
- রিয়া: কি হবে হ্যা
- নিলয় : টম এন্ড জেরির মাঝে ঝগড়া।
- রিয়া: আমার ঝগড়া করতে ভালো লাগে না। কিছু বলার থাকলে বলেন তা না হলে রাখেনতো।
- নিলয় : একটু মিষ্টি ভাবে বলুন।
- রিয়া : আমি মিষ্টি করে কথা বলতে পারি না। উফ বাই.......
- নিলয় : কোথায় যাচ্ছেন
- রিয়া: নো রিপলে
- নিলয়: কি হলো বলেন।
- রিয়া: আপনার পরিচয় দেন।
- নিলয়: আমার পরিচয় আমি টম।
- রিয়া: আমি আপনাকে চিনি না। আর অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলি না।
- নিলয়: কথা বললেন তাহলেতো পরিচিত হবো।
- রিয়া : দরকার নেই।আর মেসেজ দিবেন না।
- নিলয়: আপনার একটা ছবি পাঠানতো দেখি।
- রিয়া : মেসেজ দেখে কনো রিপলে দিলো না।
- নিলয়: কি হলো মুখে কি আটা ময়দা দিচ্ছেন নাকি এতো দেরি হচ্ছে।
- রিয়া: আর মেসেজ এর উত্তর না দিয়ে থাকতে পারলো না। আপনিতো খারাপ মানুষ আমি আপনার সাথে কথা বলবো না তবু আপনি আমাকে ডিস্টার্ব করছেন।আমি কিন্তু এখন আপনাকে ব্লক করে দিব।
- নিলয়: আচ্ছা ব্লক করতে হবে না। আর মেসেজ দিব না। এখন খুশিতো। রিয়া: হ্যা খুশি।
নিলয় ১ সপ্তাহ হলো কনো মেসেজ দিলো না। রিয়া নিলয়ের কথা ভুলে গেছে।কিন্তু কিছুদিন পর নিলয়ের একটা ফেসবুক স্টাট্যাস দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো রিয়ার। নিলয় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে শুয়ে রয়েছে। তারপর রিয়া কমেন্ট করলো। কিন্তু রিয়া কমেন্টর উওর পেলো না। রিয়া আরো বেশী চিন্তিত হয়ে পড়লে। তাই কয়েক টা মেসেজ দিলো। কিন্তু তবু কনো উত্তর পেলো না। নিলয় সুস্থ হয়ে যখন ফোন দেখলো তারপর সাথে সাথে রিয়াকে ফোন দিলো মেসেঞ্জারে রিয়া ফোন রিসিভ করে বলে উঠে কি হয়ছে আপনার কেনো উত্তর দিচ্ছেন না। নিলয় সব কিছু বলে এক্সিডেন্ট হয়ছিলো।এবং অসুস্থ ছিল তাই উত্তর দিতে পারে নি। নিলয় বলে তবে আপনিতো আমার সাথে কথা বলবেন না। তাহলে কেনো আমার খবর নিচ্ছেন। রিয়া চুপ করে আছে কনো কথা বলছে না। তারপর নিলয় বলছে আপনি কি আমার সাথে কথা বলতে পারবেন। রিয়া বলে কথাতো বলতেছি। নিলয় বলে এইভাবে না অন্য ভাবে রিয়া বলে কি ভাবে তাহলে। আমরা কি আপনি থেকে তুমি হতে পারি। রিয়া বলে ঠিক আছে কিন্তু তুমি পর কিন্তু আর কিছু না। নিলয় ঠিক আছে। তারপর এইভাবে তিন মাস হয়ে গেলো তাদের সাথে কথা। নিলয় প্রপোজ করে দিলো। কিন্তু প্রপোজ করে দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে কথা হয় না তাদের। নিলয় চিন্তিত হয়ে পড়ে। তিন দিন পর রিয়ার ফোন রিয়া বলছে আমাকে তুমি এই তিন দিন কতো বার মনে করছো।নিলয় উত্তরে বলে হিসাব করেপ বলতে পারবো না তবে অনেক বার।রিয়া বলে ঠিক আছে এই তিন দিন যেভাবে আমার কথা চিন্তা করছো সারা জীবন কি আমার জন্য এইভাবে ভাবতে পারবে । নিলয় হ্যা পারবো। এই ভাবে তাদের রিলেশন চলে প্রায় ২ বছর কিন্তু এখনো তাদের দেখো হয়নি। তারা ঠিক করে দেখা করবে পরের সপ্তাহে। তাই দেখা করবে এই চিন্তা করতে করতে দুই জন অনেক অপেক্ষার দিন গুনছে।
দেখা করার দিন
তাদের দুইজনের খুব কাছের একটা জায়গায় দেখা করবে। তাদের দুজনের বাসা খুব একটা দূরে ছিল না।বিকেল ৩ টা নদির পাশে দিয়ে হেটে চলছে দুই জন। মনে হচ্ছে তারা ডানে বামে কি হচ্ছে কিছুই দেখছে না। সুধু একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। এই ভাবে কিছুখন চলার পর আকাশ মেঘলা হয়ে গেলো। হঠাৎ ব্রজপাত শুরু হলো আর রিয়া ভয়ে কান্না করে দিলো। রিয়া ব্রজপাত খুব ভয় পায়।নিলয় রিয়ার চোখের জল মুছে দিয়ে জড়িয়ে দরলো। রিয়া আরো বেশি করে কান্না শুরু করলো।নিলয় বলছে কান্না করো না আমি আছিতো তোমার সাথে। রিয়া তুমি যদি আমার চোখের প্রতেক ফোটা জলের জন্য এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখো। তাহলে আমি সারা জীবন এভাবে কাঁদতে রাজি আছি।
নিলয়: তোমাকে এভাবে কাঁদতে হবেনা আমি এমনিতেই তোমাকে সারা জীবন এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখবো। কথা বলতে বলতে হঠাৎ বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। নিলয় রিয়াকে বলে আজকে তাহলে বাড়ি ফিরে যাও অন্য আরেকদিন দেখা হবে আজকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তারপর নিলয় এদিক-সেদিক রিকশা খুঁজতে শুরু করলো কিন্তু রিকশা পেল না। হঠাৎ একটি রিকশা পেল এবং দুজনেই সেই রিক্সায় উঠে পড়লো এবং রিয়া নিলয় কে বলছে আচ্ছা আমাকে তুমি নামিয়ে দিয়ে তারপর তোমার বাসায় চলে যাও যেহেতু আমার বাসা খুবই কাছে এখান থেকে। নিলয় রিয়াকে তাদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেল তার বাসার দিকে। ঐদিনের পর থেকে তিনদিন যাবৎ রিয়া এবং নিলয়ের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। রিয়া অনেকবার চেষ্টা করছে ফোনে কিন্তু নিলয়ের ফোন অফ ছিল যার ফলে যোগাযোগ হচ্ছিল না তাদের মাঝে। হঠাৎ রিয়ার টিভিতে দেখতে পায় একজন রিকশাচালক সহ একজন যাত্রী ব্রজপাতে মারা গিয়াছে। রিয়া চিনতে পারে যাত্রীটি নিলয়। আর তখন থেকে রিয়া সুধু কান্না করে। কথা বলে না চুপ করে থাকে।
আজ ১২ বছর হয়ে গেছে কিন্তু রিয়ার কান্না এখনো থামেনি ।চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে। রিয়া এখন মানসিক হাসপাতালে। সত্যি কারের ভালবাসা গুলো এমনি হয়।
Comments
Post a Comment